Breaking News

প্রধান বিচারপতির ক্যান্সারের ঘোষণা ৭ই অক্টোবরের পরে হলে কি হতো? : রনি

ইস ! প্রধান বিচার পতির ক্যান্সার জনিত ছুটির ঘটনাটি যদি কয়েকদিন পর অর্থাৎ ৭ই অক্টোবরের পরে হতো তাহলে এমন কি মহা ভারত অশুদ্ধ হতো ? আমাদের
দেশের মুল ধারার পত্র পত্রিকা বিষয়টি নিয়ে সাদামাটা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিদেশী পত্র পত্রিকাগুলো যাচ্ছেতাই প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাচ্ছে যা আমাদের একটি অমিত সম্ভাবনাময় জাতীয় স্বার্থকে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে। ৬ই অক্টোবর নোবেল শান্তি পুরুস্কার ঘোষনা করা হবে। আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টরা এই আশায় বুক বেঁধে আছেন যে তাদের নেত্রী পুরুস্কার নিয়েই দেশে ফিরবেন। আপাত দৃষ্টিতে সবকিছু ঠিকই ছিলো। কিন্তু প্রধান বিচার পতির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে একমাসের ছুটি নিয়ে সৃষ্ট গুজবের কারনে নোবেল কমিটি কি সিদ্ধান্ত নেন তাই এখন বিবেচ্য বিষয়।
আমরা সকলেই জানি যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সহ তার ঘনিষ্ঠ জনেরা নোবেল শান্তি পুরুস্কার পাওয়ার জন্য কি নিরন্তর চেষ্টা তদ্বির, এবং আশা ভরসা নিয়ে ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। কোন রকম আলাপ আলোচনা, পূর্ব প্রস্তুতি এবং কুটনৈতিক তৎপরতা এবং বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে তিনি পশ্চিমা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হবার পর নোবেল প্রাপ্তির বিষয়টি আরো খোলামেলা ভাবে আলোচিত হতে থাকে।



উপরোক্ত অবস্থায় প্রধান বিচারপতি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি ভুল সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি করে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নোবেল প্রাপ্তির মতো অমিত সম্ভাবনাময় একটি গৌরবময় অধ্যায়ের যদি যবনিকাপাত ঘটে তবে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে ? নোবেল পুরুস্কার ছাড়া যদি প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে বাংলাদেশে ফেরেন তবে তার আপনজন এতোবড় বেদনা সইবেন কি করে ?


No comments