ট্রাম্পের নতুন নীতি : মারাত্মক বিপদে ভারতীয়রা
৭
মার্কিনিদের কাজের সুযোগ করে দিতে পাঁচ বছরের পুরনো আইন বাতিল করতে
চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার জের ধরে সাত হাজার
ভারতীয়–আমেরিকানের চাকরি যেতে পারে।
২০১২ সালের জুন মাসে ডিএসিএ আইন পাস করে ওবামা প্রশাসন। সেই আইনের সুবিধা নিয়ে সে দেশে বসবাসকারী বিদেশিরা নিজেদের দেশ থেকে সন্তান সন্ততি নিয়ে যেতে শুরু করেন। তাঁদের সেখানে বসবাসের পাশাপাশি কাজের অধিকার দেয়া হয়। প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারে ওবামার এই আইনকে লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন ট্রাম্প।
তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে বেআইনিভাবে সে দেশে থাকা যুবক–যুবতীদের কিছুটা সহানুভূতি দেখাতে থাকেন তিনি। এঁদের ‘স্বপ্ন সন্ধানী’ বলেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, এই সমস্ত অভিবাসীরা যাতে কাজের সুযোগ না পান তার জন্য আইন আনতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরফলে সে দেশে সাড়ে সাত লক্ষ বেআইনি অভিবাসী কাজ হারাবেন। মার্কিন অভিবাসন পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেআইনি অভিবাসীর নিরিখে ভারতের স্থান ১১ তম। সাত হাজার ভারতীয়–আমেরিকানের জীবিকার সমস্যা দেখা দেবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিএসিএ আইন অনুযায়ী দু’বছর অন্তর প্রার্থীকে আমেরিকায় থাকার জন্য আবেদন জানাতে হয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স শুক্রবার বলেছেন এই নিয়ে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প।
ভয়াবহ দাবালনের কবলে লস এঞ্জেলস
ভয়াবহ দাবালনের কবলে পড়ল উত্তর লস এঞ্জেলসের বনাঞ্চল। শহর থেকে কিছুটা দূরের বনাঞ্চল লা টুনাতে প্রথম আগুন দেখা যায়। তারপর তা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে ৫ হাজার একর জায়গা ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। প্রশসনের তরফে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত ২৫০টি বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে বলা হয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দমকল দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গত তিনদিনে আগুন আরও বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
লস এঞ্জেলসের ইতিহাসে এমন ভয়ংকর দাবালন দেখেননি কেউই। সরকারি নথিতেও একই কথাই বলছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। তার জেরেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শহরের মেয়র এরিক গার্সি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। অতীতে শহরের বাসিন্দারা এমন দাবালনের সম্মুখীন হননি। ইতিমধ্যে ২৫০ জন দমকল কর্মী আগুন নেভাতে নেমে পড়েছেন। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের ২০০টি বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমেরিকায় কুপিয়ে খুন ভারতীয় শিখ ছাত্রকে, ধৃত মার্কিন ছাত্র
মার্কিন মুলুকে ফের খুন হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিখ ছাত্র। গগনদীপ সিং (২২) নামে ওই ছাত্রের বাড়ি পাঞ্জাবের জলন্ধরে। তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন স্পোকানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ২৮ আগস্ট তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযুক্ত জ্যাকব কোলেমান নামে ১৯ বছরের এক মার্কিন ছাত্র। প্রাথমিকভাবে স্পোকান পুলিশের ধারণা, এই হত্যার পিছনে বর্ণবিদ্বেষই দায়ী। কারণ, ধৃত কোলেমান জেরায় স্বীকার করেছে, স্পোকানের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে সে রাগের মাথায় গগনদীপকে হত্যা করে। বোনার কাউন্টির শেরিফ অফিসের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির জন্য সিয়াটেল থেকে স্পোকানে এসেছিল কোলেমান। কিন্তু তাকে ভরতি নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে বলে সে দাবি করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোলেমান ভর্তির ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
আমেরিকায় শিখরা বর্ণবিদ্বেষের শিকার বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। গত জুলাই মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই শিখ ছাত্রকে হত্যা করা হয়। তারও আগে মার্চ মাসে ওয়াশিংটনের কেন্ট এলাকায় ৩৯ বছরের এক শিখ যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন গগনদীপ।
জলন্ধর থেকে ২০০৩ সালে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন গগনদীপ। থাকতেন ওয়াশিংটন স্টেটে। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি গগনদীপ একটি ট্যাক্সিও চালাতেন।
ঘটনার দিন তিনি স্পোকান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বোনার কাউন্টির এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য তাঁর ট্যাক্সিটি ভাড়া করে কোলেমান । পুলিশ জানিয়েছে, যাওয়ার পথেই আলাপচারিতায় কোলেমান জানতে পারে গগনদীপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তার পরই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে একটি দোকান থেকে ছুরিও কেনে কোলেমান। কোটেনাই শহরে এসে গগনদীপকে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায় সে। সেখানেই ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় কোলেমান। ছুরি দিয়ে গগনদীপের দেহে একাধিক আঘাতও করে সে। ঘটনাস্থলেই মারা যান গগনদীপ।
২০১২ সালের জুন মাসে ডিএসিএ আইন পাস করে ওবামা প্রশাসন। সেই আইনের সুবিধা নিয়ে সে দেশে বসবাসকারী বিদেশিরা নিজেদের দেশ থেকে সন্তান সন্ততি নিয়ে যেতে শুরু করেন। তাঁদের সেখানে বসবাসের পাশাপাশি কাজের অধিকার দেয়া হয়। প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারে ওবামার এই আইনকে লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন ট্রাম্প।
তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে বেআইনিভাবে সে দেশে থাকা যুবক–যুবতীদের কিছুটা সহানুভূতি দেখাতে থাকেন তিনি। এঁদের ‘স্বপ্ন সন্ধানী’ বলেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, এই সমস্ত অভিবাসীরা যাতে কাজের সুযোগ না পান তার জন্য আইন আনতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরফলে সে দেশে সাড়ে সাত লক্ষ বেআইনি অভিবাসী কাজ হারাবেন। মার্কিন অভিবাসন পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেআইনি অভিবাসীর নিরিখে ভারতের স্থান ১১ তম। সাত হাজার ভারতীয়–আমেরিকানের জীবিকার সমস্যা দেখা দেবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিএসিএ আইন অনুযায়ী দু’বছর অন্তর প্রার্থীকে আমেরিকায় থাকার জন্য আবেদন জানাতে হয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স শুক্রবার বলেছেন এই নিয়ে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প।
ভয়াবহ দাবালনের কবলে লস এঞ্জেলস
ভয়াবহ দাবালনের কবলে পড়ল উত্তর লস এঞ্জেলসের বনাঞ্চল। শহর থেকে কিছুটা দূরের বনাঞ্চল লা টুনাতে প্রথম আগুন দেখা যায়। তারপর তা বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে ৫ হাজার একর জায়গা ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। প্রশসনের তরফে ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত ২৫০টি বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে বলা হয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দমকল দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গত তিনদিনে আগুন আরও বেশি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
লস এঞ্জেলসের ইতিহাসে এমন ভয়ংকর দাবালন দেখেননি কেউই। সরকারি নথিতেও একই কথাই বলছে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হল প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। তার জেরেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পড়েছে। শহরের মেয়র এরিক গার্সি বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি। অতীতে শহরের বাসিন্দারা এমন দাবালনের সম্মুখীন হননি। ইতিমধ্যে ২৫০ জন দমকল কর্মী আগুন নেভাতে নেমে পড়েছেন। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। ওই অঞ্চলের ২০০টি বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমেরিকায় কুপিয়ে খুন ভারতীয় শিখ ছাত্রকে, ধৃত মার্কিন ছাত্র
মার্কিন মুলুকে ফের খুন হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিখ ছাত্র। গগনদীপ সিং (২২) নামে ওই ছাত্রের বাড়ি পাঞ্জাবের জলন্ধরে। তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন স্পোকানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ২৮ আগস্ট তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। অভিযুক্ত জ্যাকব কোলেমান নামে ১৯ বছরের এক মার্কিন ছাত্র। প্রাথমিকভাবে স্পোকান পুলিশের ধারণা, এই হত্যার পিছনে বর্ণবিদ্বেষই দায়ী। কারণ, ধৃত কোলেমান জেরায় স্বীকার করেছে, স্পোকানের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে সে রাগের মাথায় গগনদীপকে হত্যা করে। বোনার কাউন্টির শেরিফ অফিসের তরফে দেওয়া এক বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির জন্য সিয়াটেল থেকে স্পোকানে এসেছিল কোলেমান। কিন্তু তাকে ভরতি নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করে বলে সে দাবি করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোলেমান ভর্তির ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।
আমেরিকায় শিখরা বর্ণবিদ্বেষের শিকার বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। গত জুলাই মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় দু’টি পৃথক ঘটনায় দুই শিখ ছাত্রকে হত্যা করা হয়। তারও আগে মার্চ মাসে ওয়াশিংটনের কেন্ট এলাকায় ৩৯ বছরের এক শিখ যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন গগনদীপ।
জলন্ধর থেকে ২০০৩ সালে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন গগনদীপ। থাকতেন ওয়াশিংটন স্টেটে। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি গগনদীপ একটি ট্যাক্সিও চালাতেন।
ঘটনার দিন তিনি স্পোকান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাছে ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। বোনার কাউন্টির এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য তাঁর ট্যাক্সিটি ভাড়া করে কোলেমান । পুলিশ জানিয়েছে, যাওয়ার পথেই আলাপচারিতায় কোলেমান জানতে পারে গগনদীপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। তার পরই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মাঝ রাস্তায় ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে একটি দোকান থেকে ছুরিও কেনে কোলেমান। কোটেনাই শহরে এসে গগনদীপকে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায় সে। সেখানেই ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায় কোলেমান। ছুরি দিয়ে গগনদীপের দেহে একাধিক আঘাতও করে সে। ঘটনাস্থলেই মারা যান গগনদীপ।
No comments