Breaking News

বিএনপিকে কি কেউ খাটো ভাবছে?

বিভুরঞ্জন সরকার
বিএনপিকে কি কেউ খাটো ভাবছে?
বিএনপির পক্ষ থেকে বিরামহীনভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, দেশে কথা বলার অধিকার নেই। সরকার বিরোধী মত প্রকাশ ও প্রচারে বাধা দিচ্ছে।

সরকার কার্যত দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কীভাবে সরকার মত প্রকাশে বাধা দিচ্ছে সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ বিএনপি নেতা এবং সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর টকশোতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন, কথা বলছেন।   টকশোগুলো সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কেউ কি তাদের বাধা দেয়? সংবাদপত্রেও বিএনপি নেতা কিংবা বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের লেখা ছাপা হয়। সেমিনার, মানববন্ধন ইত্যাদিতে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও বক্তৃতা দেওয়ার খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার ও প্রকাশ হতে দেখা যায়। তারপরও কেন কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠানো হয়, তার রহস্যভেদ করা কঠিন। বিএনপিকে বেশ কিছু দিন থেকে জনসভা বা বড় সমাবেশ করার অনুমতি সরকার দিচ্ছে না। সরকারের এ মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপি একটি নিবন্ধিত বৈধ রাজনৈতিক দল। এ দলের প্রকাশ্য সভা-সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে বিএনপি যদি সভা-সমাবেশ করতে চায় তাহলে তাতে অন্তরায় সৃষ্টি করার কোনো মানে হয় না। অতীতে কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে বিএনপির সভা-সমাবেশ শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ থাকে না। কিন্তু বিএনপি এখন ভাঙচুর ও আগুন সন্ত্রাসের পথ পরিহার করেছে বলেই মনে হচ্ছে। বিএনপি সত্যি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ধারায় ফিরে এসেছে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য হলেও তাদের প্রকাশ্যে বা খোলা মাঠে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া দরকার। জনসভা করার অনুমতি না পেয়ে বিএনপি যে বেনিফিট পাচ্ছে, মানুষের কাছ থেকে সহানুভূতি পাচ্ছে, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে জনসভা করার অনুমতি দিলে। বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দিলে সরকারেরই আপাতত লাভের সম্ভাবনা বেশি। সরকারের প্রথম লাভ, বিএনপি এ নিয়ে আর সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। অন্যদেরও মুখ বন্ধ হবে। সরকারের দ্বিতীয় লাভ, রাস্তাঘাট বন্ধ করে ঘন ঘন জনসভা করলে সাধারণ মানুষই বিএনপির ওপর বিরক্ত হবে। এখন সমাবেশ করার অনুমতি না পাওয়ায় বিএনপি সহানুভূতি পাচ্ছে, আর সমাবেশের অনুমতি পেয়ে যানজট, জনজট তৈরি করলে তারা সমালোচিত হবে। সরকারের তৃতীয় লাভ, এক বা একাধিক জনসভা করলেই সরকারের পতন হবে না। কিন্তু জনসমর্থন প্রমাণ করতে গিয়ে জনসভার আয়োজনে বিএনপিকে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ঘন ঘন জনসভা করার সক্ষমতাও সম্ভবত বিএনপির নেই। এসব বিবেচনা করে সরকারের উচিত বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া। দেশের রাজনীতি এখন সত্যনির্ভর না হয়ে ধারণানির্ভর হয়ে পড়েছে। বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন আছে, কিন্তু সেটা যে সরকারের ওপর সমর্থনের চেয়ে বেশি সেটা কীভাবে প্রমাণ করা যাবে? সরকারের প্রতি ক্ষোভ-অভিমান থাকা মানে কি বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থনের প্রমাণ? বিএনপির ওপর যেমন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সমর্থন আছে তেমনি আওয়ামী লীগও তো জনসমর্থনশূন্য দল নয়। তাই শুধু ধারণার বশবর্তী না হয়ে আমাদের সবারই উচিত সত্যসন্ধানী হওয়া। দেশ শাসনে আওয়ামী লীগ শতভাগ সফল এমন দাবি করা না গেলেও এ প্রশ্ন তোলা যায় যে, আমাদের দেশে আওয়ামী লীগের থেকে ভালো শাসন আর কোনো দল দিতে পেরেছে?
বর্তমানকে অপছন্দ করা আমাদের অনেকের এক ধরনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অতীতটা যদি আমরা মনে রেখে বর্তমানকে বিচার করি তাহলে অনেক ভ্রান্তি মোচনের সুযোগ ঘটে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় যারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশে আর কোনো সমস্যা থাকবে না বলে যারা মনে করছেন তারা যদি বিএনপির শাসনকালের কথা স্মরণে আনেন তাহলেও কি তাদের আফসোস দূর হয় না?
এটা ঠিক যে, মানুষ পরিবর্তন পছন্দ করে। এক কাপড় মানুষ দীর্ঘদিন পরিধান করতে চায় না। কিন্তু একটি দেশের সরকার বদলটা কিন্তু কাপড় বদলের মতো অত সহজ বিষয় নয়। কাপড় বদলানোটা ব্যক্তির রুচি ও সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সরকার বদলের সঙ্গে সমষ্টির স্বার্থ ও কল্যাণের প্রশ্ন জড়িত। খারাপ সরকার হটিয়ে ভালো সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ পরিবর্তন চাইতেই পারে। কিন্তু আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো বিকল্প দেখা যাচ্ছে কি? বিএনপি কি আওয়ামী লীগের চেয়ে কোনো বিবেচনায় অগ্রগামী দল? শেখ হাসিনার চেয়ে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভালো বলার কারণ যারা খুঁজে পান, তাদের দৃষ্টি ও মনের প্রসারতা প্রশ্নাতীত নয়। আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকার মতো দল নয়। শেখ হাসিনার সরকারও সব কিছু ভালো করছে তা নয়। তারপরও বিএনপির সঙ্গে তুলনা করলে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে না রাখলে সেটা সুবিবেচনার কাজ হয় কি? কিন্তু এসব হলো যুক্তির কথা। শুধু আমাদের দেশে কেন, কোনো দেশেই রাজনীতি সব সময় যুক্তির পথ ধরে চলে না। রাজনীতির হিসাব-নিকাশ আলাদা। রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের সমর্থন-অসমর্থনের ব্যাপারটাও সব সময় যুক্তির পথ ধরে হাঁটে না। একজন নেতা বা একটি দলকে মানুষ যে কারণে পছন্দ করে অন্য আরেকটি দলের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটাটাই স্বাভাবিক। ভারতের মানুষ মহাত্মা গান্ধীকে অর্ধনগ্ন ফকিরের পোশাকে মেনে নিয়েছে বলে আরেকজনকেও একইভাবে মেনে নেবে তা কিন্তু নয়। মানুষের মন বোঝা কঠিন। জনমনস্তত্ত্ব বোঝাও খুব সহজ নয়। বাস্তবতা এবং মায়াজাল বলে দুটি কথা আছে। কারও ব্যাপারে আমরা বাস্তবতা থেকে একচুল নড়তে চাই না। আবার কারও ব্যাপারে আমরা একপ্রকার মায়াজালে বাঁধা পড়ি। রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের প্রতি সমর্থনের প্রশ্নেও আমরা এই বাস্তবতা ও মায়াজাল থেকে মুক্ত নই। আওয়ামী লীগকে যেভাবে দেখি বিএনপিকে সেভাবে নয়। আবার উল্টোটাও আছে। বিএনপিকে দেখার চোখ এবং আওয়ামী লীগকে দেখার চোখ এক হয় না। একবার ভাবুন তো জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর যদি শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতো তাহলে অথবা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিএনপির জনসভায় খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপির ২০-২৫ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হতো, আহত করা হতো আরও অসংখ্য মানুষকে, তাহলে কী প্রতিক্রিয়া হতো বিএনপির এবং সমর্থকদের। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর দিনটিতে যদি শেখ হাসিনা নয়, অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার জন্মদিন পালন করা হতো তাহলেই বা আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হতো? আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কাছে প্রত্যাশার এ ভিন্নতা আমাদের দেশের রাজনীতির একটি বড় সংকটের জায়গা। ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষে গেলে সেটা পক্ষপাতদুষ্ট আর বিএনপির পক্ষে গেলে নিরপেক্ষ। এরকম এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যেই রাজনৈতিক বিষয়ে আমার মতো অনেককেই লেখালেখি করতে হয়। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে চরমভাবে বিভক্ত একটি সমাজে ভারসাম্য রক্ষা করা সহজ নয়।
দুই. বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপিকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। বিএনপি জনগণের দল। বার বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করছে। ’ বিএনপি মহাসচিব হঠাৎ এমন বক্তৃতা দিলেন কেন? তার কেন মনে হলো বিএনপিকে কেউ খাটো করে দেখছে? তার কি মনে হচ্ছে সরকার বিএনপিকে খাটো করে দেখছে? অথবা গণমাধ্যম বিএনপিকে খাটো করে দেখছে? আমার তো মনে হচ্ছে বিএনপিকে তার শক্তি-সামর্থ্যের চেয়ে সবাই তাকে বড় করে দেখছে। বিএনপিকে যদি কেউ খাটো করে দেখত তাহলে বিএনপিকে নিয়ে কি এত আলোচনা-সমালোচনা হতো? এই যে সরকারের মন্ত্রী এবং সরকারি দলের নেতারা কথায় কথায় বিএনপির মুণ্ডুপাত করছেন, সেটা কি বিএনপিকে খাটো ভাবার কারণে? মির্জা আলমগীর না বললেও দেশের মানুষের এটা জানা আছে যে, জনগণের মধ্যে বিএনপির সমর্থন এবং প্রভাব আছে। বিএনপির জন্ম ও বিকাশ যে প্রক্রিয়ায়ই হোক না কেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই সরকার গঠন করেছে একাধিকবার। এসব নিয়ে কি কেউ প্রশ্ন তুলেছে, চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে? যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে মির্জা আলমগীরের আগ বাড়িয়ে দেওয়া বক্তৃতা কি আমাদের একটি অতি প্রচলিত প্রবাদের কথা মনে করিয়ে দেয় না? ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না। ’ দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় মির্জা আলমগীর আরও বলেছেন, ‘বিএনপি রাজপথে নেমে এলে এবং নির্বাচনে গেলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। এ কারণে ক্ষমতাসীনেরা বিএনপিকে ভয় পায়। ’ তাহলে কি বিএনপি আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে? দেশের সবচেয়ে পুরনো একটি রাজনৈতিক দল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে, একটি ‘গণতান্ত্রিক’ দল হিসেবে বিএনপি সেটা তো হতে দিতে পারে না। তাই বিএনপি আওয়ামী লীগকে ছাড় দিয়ে রাজপথে নামা থেকে বিরত রয়েছে এবং ঠিক একই কারণে নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না? এ ধরনের বক্তৃতা দিয়ে বিএনপি নেতা কী বার্তা দেশের মানুষের কাছে দিচ্ছেন? একই অনুষ্ঠানে দলের মহাসচিব আবার বলছেন, ‘বিএনপি এখন কঠিন দুঃসময় পার করছে। নেতা-কর্মীরা বিপদগ্রস্ত, হামলা, মামলা, গুম-খুনের শিকার। ’ এসব বলে কি তিনি প্রকারান্তরে বিএনপিকে খাটো করলেন না? বিপদ-আপদ মোকাবিলার সক্ষমতা যদি না থাকে তাহলে সে দলকে লিলিপুট না বলে গালিভার বলা যাবে কি? কথা বলতে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করে বিএনপি নেতারা যেসব কথা বলছেন সেগুলো মানুষকে উৎসাহিত করতে পারছে কি? শব্দের চেয়ে অনেক সময় নীরবতার শক্তিও যে প্রচণ্ড হয় সেটা বিএনপি নেতাদের বোঝাবে কে? নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘এ সরকারকে রুখে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে। ’ এ কথাগুলো পরস্পরবিরোধী। একদিকে বলছেন, বিএনপি রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না, অন্যদিকে বলছেন, এ সরকারকে রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজপথে না নামলে রুখবেন কীভাবে? আপনারা কি রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? নির্বাচন আদায় করার কথা বলছেন এবং সেই নির্বাচন আবার হতে হবে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে কোনো কিছু ‘আদায়’ করার কোনো রেকর্ড বিএনপির আছে কি? আর সহায়ক সরকার মানে কী? কার সহায়ক, বিএনপির না আওয়ামী লীগের? বিএনপি নেতৃত্ব এলোমেলো কথা বলা বন্ধ না করলে তারা কিন্তু কৌশলের খেলায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে পেরে উঠবে না, শুনতে খারাপ শোনালেও এটাই সত্য, এটা ধারণা নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করছে’। মির্জা আলমগীর তার জবাবে বলেছেন, ‘বিএনপি নোংরা রাজনীতি করে না। বিএনপি একটি উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপিতে সাম্প্রদায়িকতার লেশমাত্র নেই। ’ বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্য যদি সত্যি হতো তাহলে আমাদের দেশের রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসা সহজ হতো। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বিএনপিকে আওয়ামী লীগের বিপরীতে একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই দেখতে চায়। কিন্তু রক্ষণশীলতার বৃত্ত ভাঙতে পারছে না বিএনপি। যে দলের প্রধান নেত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে, যে দলের প্রধান বলতে পারেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, সেই দলে সাম্প্রদায়িকতার লেশমাত্র নেই— এ দাবি কি বিশ্বাসযোগ্য?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে ধার নিয়ে বিএনপির উদ্দেশে শুধু এটুকুই বলা যায় যে, ‘যেমন আছো, তেমনি আসো, আর করো না সাজ। ’ বিএনপি তার পরিচিত মুখে নতুন সাজ মাখতে গেলে তার কৃত্রিমতা আড়াল করা যাবে না।   বিএনপির এখন আর কথায় বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা করার দরকার নেই। কাজ দিয়েই দেখাতে হবে যে দলটি আদৌ ‘খাটো’ নয়।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

No comments