ভারতের দিক থেকে সবুজ সংকেত
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে গতকাল ব্যস্ত সময় পার করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একাধিক বৈঠক করেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ সফরকে ঘিরে নানা ধরনের বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও নানা গুঞ্জন রয়েছে। রাজনীতির অন্দরমহল এবং দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা ভিন্ন আঙ্গিকে ভাবছেন। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তার কী কথা হয়েছে, কী বার্তা দিয়ে গেলেন সুষমা স্বরাজÑ এমন আলোচনাই বেশি।
দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর বিকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে জয়েন্ট কনসালট্যান্ট কমিশনের বৈঠকের পর দেওয়া হয় দুই দেশের যৌথ বিবৃতি। সেখান থেকে তিনি যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে। জেসিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে। এর পর আবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফিরে এসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র, দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুষমার বৈঠক হয় কিনা তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ছিল। ভারতের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসেন খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকটিকে খুবই সিরিয়াসলি নেওয়া হয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বেগম জিয়ার সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তৈরি করে নিয়ে গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সুষমার সঙ্গে তার আলোচনার মূল বিষয় ছিল নির্বাচন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকা চাইছেন খালেদা।
No comments